Amader Kantho- Bangla Online News Portal and Bangladeshi online news source for Game, Binodon, politics, national, international, lifestyle, sports, and many more factors.

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Facebook Facebook Facebook Facebook

নতুন মুরগির জাত উদ্ভাবন, ৮ সপ্তাহে হবে এক কেজি

আমাদের কণ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১, ০৯:৫৬
মুরগির জাত উদ্ভাবন

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) দেশীয় জার্মপ্লাজম ব্যবহার করে অধিক মাংস উৎপাদনকারী মুরগির জাত উদ্ভাবন করেছে। নতুন জাতের এ মুরগির মাংস স্বাদে দেশি মুরগির মতো। আবার ওজন এবং বৃদ্ধিও হবে তুলনামূলক অনেক বেশি। ফলে এ জাতের মুরগি একদিকে যেমন আমিষের চাহিদা পূরণ করবে তেমনি লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হবে।

দেশীয় আবহাওয়ার উপযোগী মুরগির এই জাতটির নামকরণ করা হয়েছে ‘মাল্টি কালার টেবিল চিকেন (এমসিটিসি)’। মাত্র ৮ সপ্তাহেই এ মুরগির গড় ওজন হয় প্রায় এক কেজি। মুরগির এ জাতটি যেমন রোগ-বালাই সহিষ্ণু, তেমনি দ্রুত বর্ধনশীল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ জাতটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। সেখানেও আশানুরূপ উৎপাদন মিলেছে। এ কারণে এতে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

নতুন উদ্ভাবিত মাংসল জাতের এমসিটিসি মুরগির একদিন বয়সে হালকা হলুদ থেকে হলুদাভ, কালো বা ধূসর রংয়ের পালক দেখা যায়। পরবর্তীতে সেগুলো দেশি মুরগির মতো মিশ্র রংয়ের হয়ে থাকে। এগুলোর ঝুঁটির রং গাঢ় লাল এবং একক ধরনের। চামড়ার রং সাদাটে এবং গলার পালক স্বাভাবিকভাবে বিন্যস্ত।

গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আট সপ্তাহে এমসিটিসি মুরগির গড় ওজন ৯৭৫ গ্রাম থেকে এক কেজি হয়। এই ওজন হতে প্রতিটি মুরগি প্রায় ২ দশমিক ২০ থেকে ২ দশমিক ৪০ কেজি খাবার খায়। আবার এ জাতের মুরগির মৃত্যুর হারও খুব কম। বিএলআরআই পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণায় সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫ শতাংশ মৃত্যুহার পাওয়া গেছে। এই জাতের মুরগি অধিক রোগ প্রতিরোধক্ষম। আবার দেশীয় আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় সঠিক বায়োসিকিউরিটি এবং প্রতিপালন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলে রোগ-বালাই হয় না বললেই চলে।

গবেষণায় দেখা গেছে, আট সপ্তাহ পর্যন্ত এক হাজার এমসিটিসি জাতের মুরগির এক ব্যাচ লালন-পালন করে বাজার মূল্যভেদে প্রায় ৪৫-৬০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। বছরে অন্তত চারটি ব্যাচ পালন করলে এক লাখ ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। এছাড়া এমসিটিসি জাতের মুরগিগুলো মাংসের স্বাদ ও পালকের রং দেশি মুরগির মতো হওয়ায় খামারিরা প্রচলিত সোনালি বা অন্যান্য কক মুরগির চাইতে বেশি দাম পাবেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সব দিক বিবেচনা করে গত বছরের (২০২০) সালের জুন মাস থেকেই এমসিটিসি বাচ্চার বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে খামারি পর্যায়ে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে। নতুন উদ্ভাবিত মাংসল জাতের মুরগি খামারি পর্যায়ে সম্প্রসারণ সফলভাবে করতে পারলে একদিকে স্বল্পমূল্যে প্রান্তিক খামারিরা বেশি মাংস উৎপাদনকারী জাতের বাচ্চা পাবেন, অন্যদিকে আমদানি নির্ভরশীলতা অনেকাংশেই হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে মুরগির বাচ্চা ও মাংসের বাজারমূল্যের উত্থান-পতন নিয়ন্ত্রণও সম্ভব হবে।

বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. আব্দুল জলিল বলেন, এখন আমরা ডিম দিচ্ছি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে। তারা কিন্তু মেইনলি এটি বিস্তারের কাজটি করবে। তাদের আমরা ডিম দিচ্ছি সারাদেশে চারটি ফার্মের জন্য। সেগুলো হলো- যশোর, সাভার, বরিশাল, চট্টগ্রাম ফার্ম, এগুলো সব সরকারি ফার্ম। প্রাইভেট সেক্টরের জন্য তারা এগুলোর বাচ্চা ফোটাবে তারপর খামারিদের দেবে। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো মাত্র ৫৬ দিনে ১ কেজি ওজন হবে। এটা খুবই সম্ভবনাময়, এবং এটা হবেই। এই মুরগির টেস্ট হবে দেশি মুরগির মতো। ২০২২ সাল থেকে এই জাতের মুরগি বাজারে পাওয়া যাবে।

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জিয়াউল হক
চেয়ারম্যান: মিসেস নাজমা হক
ঠিকানা: শাঁহ আলী টাওয়ার (৩য় তলা)
৩৩, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ ।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি ।
©২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । আমাদেরকণ্ঠ২৪ ডট কম, জিয়া গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ।
কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন নাম্বার CRW-24516