Amader Kantho- Bangla Online News Portal and Bangladeshi online news source for Game, Binodon, politics, national, international, lifestyle, sports, and many more factors.

ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Facebook Facebook Facebook Facebook

তওবা কবুল হওয়ার যত আলামত

আমাদের কণ্ঠ ডেস্ক :
প্রকাশিত: বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ০৪:২৪
ফাইল ছবি

তওবা একটি আরবি শব্দ যার অর্থ প্রত্যাবর্তন, ফিরে আসা। কোরআনের সূরা ৬৬ আয়াত ০৮-তে তওবা শব্দটি ′নাসূহ (نصوح) শব্দ সহকারে ববহৃত হয়েছে যার অর্থ খাঁটি। সুতরাং, তওবার প্রকৃত তাৎপর্য হল আন্তরিক অনুশোচনা। গুনাহ করার কেউ তাওবাহ করলে তার তাওবাহ কবুল হলো কিনা তা বুঝা যাবে কিভাবে? এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনাই বা কী?

‘গুনাহ করে তাওবাহ করার পর যদি তাওবাহ পরবর্তী জীবন আগের পাপাচারের জীবনের চেয়ে ভালো হয় অর্থাৎ পাপকাজ অনেক কমে যায় ও ভালো কাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়; তাহলে আশা করা যেতে পারে যে, তার তাওবাহ মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে।

কিন্তু কারো যদি এমন না হয় অর্থাৎ তাওবাহ করার আগের ও পরের জীবনের মাঝে কোনো পার্থক্য না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে তার তাওবাহতে ত্রুটি রয়েছে।

এরকম ব্যক্তিদের করণীয় হলো- এজন্য হতাশ না হওয়া। কেউ হতাশ হলেই শয়তান খুশী হয়ে যায়। তাই বার বার আন্তরিকতার সঙ্গে একনিষ্ঠ নিয়তে তাওবাহ করা অব্যাহত রাখা। তাওবাহ কবুলের ব্যপারে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া।

তাওবাহ কবুলের আলামাত

একজন আলেমকে (জ্ঞানী ব্যক্তি) প্রশ্ন করা হয়েছিলো- ‘বান্দা যখন তাওবাহ করে, সে কি বুঝতে পারে যে, তার তাওবা কবুল হয়েছে কিনা?’

তিনি বললেন, ‘এ সম্পর্কে আমি তোমাকে কোনো সমাধান দেব না; তবে যার তাওবাহ কবুল হয়েছে বলে আশা করা যায়; এর কয়েকটি আলামত আছে। তাহলো-

১. সে নিজেকে গুনাহমুক্ত (মানুষ) বলে মনে করবে না;

২. তার অন্তর থেকে আনন্দ উঠে যাবে এবং সে (নিজেকে নিয়ে) চিন্তিত হবে;

৩. সে সৎ ব্যক্তিদের সংস্পর্শে বা কাছাকাছি হবে এবং অসৎ ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকবে;

৪. সে দুনিয়ার অল্প জিনিসকে বেশি মনে করবে এবং পরকালের অনেক আমলকে অল্প মনে করবে;

৫. আল্লাহ তাকে যে বিষয়ের জিম্মাদারী দিয়েছেন, সেইগুলোতে সে সব সময় ব্যস্ত থাকবে এবং আল্লাহ যেই বিষয়ের জামিন হয়েছেন, সেই বিষয়ে সে নির্লিপ্ত থাকবে;

৬. সে নিজের জবানকে হেফাজত করবে ও সব সময় চিন্তা-ভাবনা করবে। আর গভীরভাবে দুঃখ ও অনুশোচনা করবে।

মনে রাখতে হবে

কেউ যদি আন্তরিক তাওবাহ করে তবে আল্লাহ ওই বান্দার তাওবাহ কবুল করে নেন আর আন্তরিক তাওবাহ যদি আল্লাহর কাছে কবুল হয়, তবে বান্দার আগের সব গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেন।

এমনকি আল্লাহ যেই গুনাহগুলো মাফ করে দেন, কেউ যদি সেগুলো থেকেও ফিরে আসে তবে এগুলোর বিপরীতে মহান আল্লাহ তাকে সাওয়াব দান করেন। যেভাবে মহান আল্লাহ কোরআনুল কারিমে ঘোষণা দিয়েছেন-

اِلَّا مَنۡ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَاُولٰٓئِکَ یُبَدِّلُ اللّٰهُ سَیِّاٰتِهِمۡ حَسَنٰتٍ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا

‘তবে যারা তাওবাহ করে, বিশ্বাস ও সৎকাজ করে আল্লাহ তাদের পাপকর্মগুলিকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।‘ (সুরা ফুরকান : আয়াত ৭০)

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জিয়াউল হক
চেয়ারম্যান: মিসেস নাজমা হক
ঠিকানা: শাঁহ আলী টাওয়ার (৩য় তলা)
৩৩, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ ।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি ।
©২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । আমাদেরকণ্ঠ২৪ ডট কম, জিয়া গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ।
কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন নাম্বার CRW-24516