Amader Kantho- Bangla Online News Portal and Bangladeshi online news source for Game, Binodon, politics, national, international, lifestyle, sports, and many more factors.

ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Facebook Facebook Facebook Facebook

দুই সংশোধনীর সুপারিশ সংসদীয় কমিটির

আমাদের কণ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২, ০৮:৩২
ইসি

জাতীয় সংসদে উত্থাপিত নির্বাচন কমিশনার নিয়োগসংক্রান্ত বিলে দুটি ধারা সংশোধনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এই সংশোধনীতে ‘দুই বছর’ উঠিয়ে দিয়ে কেবল সাজাপ্রাপ্ত হলেই যে কেউ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) পদে অযোগ্য হবেন। সিইসি-ইসির যোগ্যতার ক্ষেত্রে বিলে উল্লিখিত পেশার সঙ্গে ‘স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য পেশা’ যুক্ত করা হয়েছে। বিল সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছেন কমিটির বিএনপিদলীয় সদস্য রুমিন ফারহানা।

গতকাল সোমবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান

সরকারের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, শামসুল হক টুকু, আব্দুল মজিদ খান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, রুমিন ফারহানা ও সেলিম আলতাফ জর্জ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, বিভিন্ন ধারায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনে বিলটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিলের ৫(গ) ধারায় বলা আছে, সিইসি ও ইসি হতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধাসরকারি বা বেসরকারি পদে অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এই ধারায় সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধাসরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য পেশা’ যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

সিইসি ও ইসি পদে অযোগ্যতার ক্ষেত্রে ৬(ঘ) ধারায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে বলা আছে, নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ড হলে সিইসি ও ইসি হওয়া যাবে না। কমিটি দুই বছরের কারাদণ্ড উঠিয়ে শুধু কারাদণ্ডের সুপারিশ করেছে। অর্থাৎ যেকোনো মেয়াদের সাজা হলেই অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, এসব সুপারিশসহ বিলের প্রতিবেদন আগামীকাল বুধবার সংসদ অধিবেশনে উত্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, বিলটিতে আগের অনুসন্ধান কমিটি ও নির্বাচন কমিশনকে ‘বৈধতা’ দেওয়া হচ্ছে বলে আলোচনা রয়েছে। অনেকে বলছেন ‘ইনডেমনিটি’ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এটি ইনডেমনিটি নয়। ওই দুই অনুসন্ধান কমিটিকে আইনি বৈধতা দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদীয় কমিটিতে আলোচনার পর বিলে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে কী পরিবর্তন হয়েছে, সেটি আমি এখানে বলছি না। যেদিন বিলটি সংসদে পাসের জন্য উত্থাপন করব, সেদিনই পরিবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত বলব। ’

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এখানে কাউকে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়নি। ইনডেমনিটি আর লিগ্যাল কাভারেজ এক জিনিস নয়। প্রস্তাবিত আইনের দফা-৯ পড়লেই বোঝা যাবে, এতে কারো কৃতকর্মকে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়নি।

কমিটিতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ওই দুটি ধারায় পরিবর্তন ছাড়া বিলে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। কাল বুধবার সংসদে প্রতিবেদনটি উত্থাপন হলে পরদিনই বিলটি পাসের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিএনপি এমপির নোট অব ডিসেন্ট

বিলে আইনের শাসনের পরিপন্থী ধারা থাকায় বৈঠকে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছেন কমিটির সদস্য বিএনপিদলীয় সদস্য রুমিন ফারহানা। তিনি আমাদের কণ্ঠ প্রতিবেদক কে বলেন, অংশীজনের মতামত ছাড়া তড়িঘড়ি করে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও আইনজীবীরা, এমনকি অতীতে যাঁরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সবাই বলছেন, আইনটি নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন না হয়ে সার্চ কমিটি গঠনের আইন হচ্ছে।

বিলের ৯ ধারা বাতিলের দাবি জানিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, এই ধারা কোনোভাবেই রাখা ঠিক হবে না। এই ধারায় ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির এই এমপি বলেন, অনুসন্ধান কমিটিতে সরকারি দল, বিরোধী দল ও সংসদের তৃতীয় বৃহত্তর দলের একজন করে প্রতিনিধি রাখতে বলেছি। অর্থাৎ আগামী সার্চ কমিটিতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির একজন করে সংসদ সদস্য থাকবেন। সার্চ কমিটি যেসব নাম দেবে, সেগুলো এবং তাঁদের যোগ্যতা হলফনামা আকারে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে, যাতে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজসহ অন্যরা তাঁদের সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি অনুসন্ধান কমিটির প্রস্তাব থেকে নিয়োগ দিলেন কি না, সেটিও জানা দরকার।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও সার্চ কমিটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে বিলটি গত রবিবার সংসদে উপস্থাপন করা হয়।

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জিয়াউল হক
চেয়ারম্যান: মিসেস নাজমা হক
ঠিকানা: শাঁহ আলী টাওয়ার (৩য় তলা)
৩৩, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ ।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি ।
©২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । আমাদেরকণ্ঠ২৪ ডট কম, জিয়া গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ।
কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন নাম্বার CRW-24516