Amader Kantho- Bangla Online News Portal and Bangladeshi online news source for Game, Binodon, politics, national, international, lifestyle, sports, and many more factors.

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ, ২০২৪

Facebook Facebook Facebook Facebook

সিলেট-সুনামগঞ্জের পর নেত্রকোনা-শেরপুরেও বন্যা

শেরপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২, ০১:৪০
শেরপুরেও বন্যা

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে সিলেট-সুনামগঞ্জের পর নেত্রকোনা-শেরপুরেও বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি। গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে তারা। প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

শেরপুর: ভারিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নয় দিনের মাথায় ফের আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে শেরপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলার নিম্নাঞ্চলে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারিবর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলের পানিতে দ্বিতীয় দফায় শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ প্লাবন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মহারশী এবং সোমেশ্বরী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর, ধানশাইল, গৌরীপুর, হাতিবান্দা ও মালিঝিকান্দাসহ ৫ ইউনিয়নের ২০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার রামেরকুড়া, দিঘীরপাড়, চতলের বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলা সদর এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওইসব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পানির চাপে শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে রামেরকূড়া গ্রামের বাঁধের কাছে থাকা একটি বাড়ি ও পোলট্রি খামার ভেসে গেছে। সেই সঙ্গে ওই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ির মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। এদিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঝড়োহাওয়া ও ভারি বর্ষণের কারণে উপজেলার সর্বত্র বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে মোবাইল নেটওয়ার্কও সমস্যা হচ্ছে। যাদের মোবাইল চার্জ দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা নেই তারা সব প্রকার যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। এদিকে উজানের ভারতের মেঘালয়ের বিভিন্ন পাহাড়ি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফায় আজ শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলা সদরে ও বিভিন্ন গ্রামে পানি আসতে শুরু করেছে। বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হলে বন্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। প্রথম দফায় বন্যার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসনের বরাদ্দের ১৫ মেট্রিক টন চালের মধ্যে ইতোমধ্যে ১০ মেট্রিক টন বিতরণ করা হয়েছে; বাকি চাল বিতরণ করা হবে। এছাড়া বর্তমানে যারা পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। গত ৯ জুন সকালে ঝিনাইগাতী উপজেলার সোমেশ্বরী ও মহারশী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২০ গ্রাম আকস্মিক বন্যাকবলিত হয়। গত ৯ দিনে ওই সব এলাকার পানি নেমে গেলেও শুক্রবার সকাল থেকে আবারো ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন করে ২০ গ্রাম প্লাবিত হলো।

শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মো. শাহজাহান জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১১৫ মিলিমিটার এবং শেরপুর সদর উপজেলায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তের পাহাড়ি নদীর সবটিতেই বিপৎসীমানার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি জামালপুর-শেরপুর পয়েন্টে এখনো বিপৎসীমার প্রায় ৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জিয়াউল হক
চেয়ারম্যান: মিসেস নাজমা হক
ঠিকানা: শাঁহ আলী টাওয়ার (৩য় তলা)
৩৩, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ ।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি ।
©২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । আমাদেরকণ্ঠ২৪ ডট কম, জিয়া গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ।
কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন নাম্বার CRW-24516