Amader Kantho- Bangla Online News Portal and Bangladeshi online news source for Game, Binodon, politics, national, international, lifestyle, sports, and many more factors.

ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Facebook Facebook Facebook Facebook

খরচ বাঁচাতে খাওয়া কমিয়েছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

আমাদের কণ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ আগষ্ট, ২০২২, ০৯:৫২
1

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম (ছদ্মনাম)। পড়ছেন স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে। ছেলেবেলায় মা-বাবাকে হারিয়েছেন। আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখন আর চলছে না। আগে সাড়ে তিন হাজার টাকায় টেনেটুনে মাস চালাতেন তিনি। এখন অন্তত দেড় হাজার টাকা বেশি লাগছে তার। জাহিদুল জানান, অর্থের সংস্থান করতে না পেরে তিনি সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়েছেন। বিকেল বা সন্ধ্যায়ও কিছু খান না। কেবল দুপুর আর রাতে হলের ক্যান্টিনে ভাত খান। সেখানেও মিতব্যয়ী হতে হয়েছে তাকে। বেশিরভাগ সময় কেবল সবজি দিয়েই দুপুরের খাবার সারছেন তিনি; মাছ-মাংস খাওয়া একরকম বাদ দিয়েছেন।

দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ক্যান্টিন ও ক্যাম্পাসের খাবারের দোকানগুলোতে। যার ফলে শুধু জাহিদ নন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী এখন সংকটে পড়েছেন। মুরগির মাংস যেখানে ৩৫-৪০ টাকায় পাওয়া যেত, সেখানে এখন তা ৫০ টাকা করা হয়েছে। ৩০-৩৫ টাকার মাছের পিস এখন নেওয়া হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। গরুর মাংস ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা। ডিম-ভাত পাওয়া যেত ২৫-৩০ টাকায় এখন সেটি ৩৫-৪০ টাকা। এছাড়া অনেক খাবারেই তুলনামূলক দাম বেশি রাখতে দেখা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়া এবং ক্যাম্পাসের খাবারের দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশিরভাগ হলে খাবারের দাম বেড়ে গেছে। যেখানে বাড়েনি, সেখানে অন্য উপায় অবলম্বন করা হয়েছে। যেমন, মাছ ও মাংসের আকার ছোট হয়ে গেছে। কমে গেছে সবজি-ভর্তার পরিমাণ। কয়েকটি হল ঘুরে দেখা যায়- মুরগির মাংস যেখানে ৩৫-৪০ টাকায় পাওয়া যেত, সেখানে এখন তা ৫০ টাকা করা হয়েছে। ৩০-৩৫ টাকার মাছের পিস এখন নেওয়া হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। গরুর মাংস ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা। ডিম-ভাত পাওয়া যেত ২৫-৩০ টাকায় এখন সেটি ৩৫-৪০ টাকা। এছাড়া অনেক খাবারেই তুলনামূলক দাম বেশি রাখতে দেখা গেছে। এক মাসের খরচ চালাতে আগের চেয়ে ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা বেশি লাগছে। টিউশনির টাকা কিন্তু বাড়েনি। মাস শেষে দেখা যায় ‘শ্রীলঙ্কা’ হয়ে বসে আছি! 

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাস্তবতা মানছেন শিক্ষার্থীরাও। তারা বলছেন, হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি কিছুটা ভর্তুকি দেওয়া হয় আর কর্তৃপক্ষ যদি ক্যান্টিনগুলো মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করেন তাহলে কম খরচের মধ্যেই মোটামুটি একটা মানের খাবার খেতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার বলেন, হলে ডাইনিং ক্যান্টিনে দফায় দফায় দাম বৃদ্ধি করলেও খাবারের মানের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। তিনবেলা খাবারের যোগান দিতে আগের চেয়ে দেড়গুণ টাকা গুনতে হচ্ছে। বিপরীতে খাবারের মান কমে গেছে। পরিমাণ যতটুকু দেয় এতে একজন মানুষের দৈনিক যে ন্যূনতম ক্যালরি প্রয়োজন, সেটাও পূরণ হয় না। খাদ্যের মূল্য তালিকায় কেন্দ্রীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং মনিটরিং সেল গঠন করা দরকার। 

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জিয়াউল হক
চেয়ারম্যান: মিসেস নাজমা হক
ঠিকানা: শাঁহ আলী টাওয়ার (৩য় তলা)
৩৩, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ ।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি ।
©২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । আমাদেরকণ্ঠ২৪ ডট কম, জিয়া গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ।
কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন নাম্বার CRW-24516