Amader Kantho- Bangla Online News Portal and Bangladeshi online news source for Game, Binodon, politics, national, international, lifestyle, sports, and many more factors.

ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Facebook Facebook Facebook Facebook

উচ্চশব্দে বিচারকাজে বিঘ্ন, হাইকোর্টের ক্ষোভ

আমাদের কণ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৩ জানুয়ারী, ২০২৩, ০২:২৩
আদালতের ক্ষোভ

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাজনৈতিক সমাবেশের কারণে সৃষ্ট শব্দদূষণে বিচারিক কাজে বিঘ্ন ঘটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার অনুমতি (সমাবেশের) দিয়েছেন কি না খোঁজ নেবেন। এছাড়া তারা অনুমতি দিলেও শুক্র-শনিবার বা সরকারি ছুটির দিনে এই সমাবেশের অনুমতি দিতে পারতো।’

প্রশ্ন তুলে হাইকোর্ট বলেন, ‘দরজা-জানালা বন্ধ থাকার পরও হাইকোর্ট বিভাগের বিজয় ৭১ বভবনের ১০ম ফ্লোরে অবস্থিত আদালতের ভেতরে এত আওয়াজ, আইনজীবীরা কী কথা বলছেন, আমরা কী বলছি, তা ঠিকমতো না শুনলে আমরা বিচার করবো কীভাবে?’ জানা গেছে, সামবেশের মাইকের উচ্চশব্দে সোমবার হাইকোর্ট বিভাগের বিজয় ৭১ ভবনের ওই বেঞ্চের বিচারকাজ অনেকক্ষণ বন্ধও ছিল। সকালে কোর্ট শুরু হওয়ার একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ডেকেছিলেন আদালত। কিন্তু রেজিস্ট্রার জেনারেল সংশ্লিষ্ট কোর্টে উপস্থিত হননি। এজন্যও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই বেঞ্চের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের বরাত দিয়ে বলেন, ‘১০ মিনিটের মধ্যে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে আসতে বললেও তিন ঘণ্টা পার হয়েছে, দুপুরের বিরতি পর্যন্ত তিনি (রেজিস্ট্রার জেনারেল) আসেননি।’ আদালত বলেন, ‘এটা দুঃখজনক। আমি দেখেছি ২০১০ সালে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ডাকা মাত্রই ৭-৮ মিনেটের মধ্যে চলে আসতেন। এখন এর ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে। চাইলে রেজিস্ট্রার জেনারেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এরকম আদেশ দিলে বিষয়টি আপনারা অন্যভাবে নেবেন। কার পাওয়ার (ক্ষমতা) নিয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেল এরকম করছেন জানি না। কেউ কারও কমান্ড না শুনলে, নিজে কাউকে সম্মান না দিলে একদিন তাকেও অসম্মানিত হতে হবে।’

এ সময় আদালতে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘আপনি বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবী, কোর্ট চলাকালে পরিবেশ কেমন থাকা উচিত বলুন।’ তখন ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন আদালতকে বলেন, ‘বিচারকাজ নিরবচ্ছিন্ন শব্দদূষণ মুক্ত পরিবেশে হওয়া প্রয়োজন।’ বিচারপতি বলেন, ‘এভাবে চললে আমরা বিচার কীভাবে করবো?’

আদালত বলেন, ‘বিচারকাজ চলার সময় কোর্টের পাশে কীভাবে উচ্চশব্দে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো? এটি তারা কি খেয়াল করলো না? যদিও সভা-সমাবেশ করার অধিকার সবারই আছে। তারা কোর্ট ছুটির দিন বা কোর্টের সময়ের পরে এসব সভা-সমাবেশ করতে পারেন। যারা সভা-সমাবেশ করছেন, আমি বলবো তাদের কোনো দোষ নেই। তারা তো অনুমতি নিয়ে করছেন। যারা অনুমতি দিলেন তাদেরকে এ বিষয়টি ভাবা উচিত ছিল।’

আদালত আরও বলেন, ‘স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে যা ইচ্ছে তাই করা যায় না। আইনে এসব এলাকায় উচ্চশব্দের হর্ন দেওয়াও নিষেধ। অথচ এখানে কোর্ট চলার পর থেকে উচ্চশব্দ শুনছি।’ এসময় ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন আদালতকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানলাম। আপনি যা বলছেন তা সঠিক বলছেন। আমি নিজেও শুনানি করতে গিয়ে বিরক্তিবোধ করছি। এ বিষয়ে আমি উপর মহলকে অবহিত করবো, যেন বিষয়টি দ্রুত সমাধান হয়।’

হাইকোর্ট বিভাগের বিজয়-৭১ কোর্ট ভবনের পাশে উচ্চ শব্দদূষণের কারণে উচ্চ আদালতের বিচারিক কাজে বিঘ্ন ঘটার বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)-এর চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আদালতের কার্যক্রমে কোনো হস্তক্ষেপ করা যায় না। একবার ভারতের আদালতের উপর দিয়ে বিমান যাওয়ার পর সেই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কোর্ট নোটিশ করেছিলেন। এখন আমাদের উচ্চ আদালতের অনেক কোর্ট-ই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে। সেখানে সবসময় শব্দ হয়। আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করুক আর না করুক, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটা ঠিক না।’

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জিয়াউল হক
চেয়ারম্যান: মিসেস নাজমা হক
ঠিকানা: শাঁহ আলী টাওয়ার (৩য় তলা)
৩৩, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ ।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি ।
©২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । আমাদেরকণ্ঠ২৪ ডট কম, জিয়া গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ।
কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন নাম্বার CRW-24516