Amader Kantho- Bangla Online News Portal and Bangladeshi online news source for Game, Binodon, politics, national, international, lifestyle, sports, and many more factors.

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Facebook Facebook Facebook Facebook

ডিমের দামে খামারে স্বস্তি বাজারে অস্বস্তি

আমাদের কণ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ১২:০০
ডিমের দামে

ঈশ্বরদীতে প্রতিদিনই ডিমের দাম বেড়েই চলেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ঈশ্বরদীর খুচরা বাজারে হালি প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ১৪ টাকা। খামারে ৪০ টাকা, আড়তে ৪১ থেকে ৪২ টাকা ও খুচরা বাজারে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায় ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে। মাত্র ১৫ দিন আগেও প্রতি হালি ডিম খুচরা বাজারে ৩২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ডিমের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা স্বস্তিবোধ করলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

খামারিরা জানান, বৃহস্পতি ও শুক্রবার গত দুই দিনে খামারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হয়েছে ৩৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৪০ টাকা ৪০ পয়সায়। প্রতি পিস ডিম ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ১০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। ১৫ দিন আগে প্রতি পিস ডিম ৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ডিমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিরা স্বস্তিবোধ করছেন। তারা জানান, গত ৬ মাস প্রতি পিস ডিম ৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৮ টাকা দরে বিক্রি করতে হয়েছে। অথচ প্রতিটি ডিম উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সার চেয়েও বেশি। এতদিন প্রতিপিস ডিমে ২ থেকে ২ টাকা ৫০ পয়সা লোকসান হয়েছে। বর্তমান বাজার দরে খামারিরা লাভবান না হলেও অন্তত লোকসান গুনতে হচ্ছে না। ডিমের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দামও কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। খামারে ব্রয়লার ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৭৫ টাকা।

উপজেলার খয়েরবাড়ি গ্রামের খামারি মহসীন কাজী জানান, ডিমের বর্তমান বাজারদর ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। গত ৬ মাস ধরে প্রতি পিস ডিম ৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৮ টাকায় স্থির ছিল। অথচ প্রতি পিস ডিম উৎপাদনে খরচ ১০ টাকা ৫০ পয়সা। তিনি বলেন, মুরগির খাদ্য ও ওষুধের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে খামারিরা দীর্ঘদিন ধরে লোকসান দিয়ে আসছেন। মাত্র কয়েকদিন হয়েছে ডিমের বাজারদর কিছুটা বেড়েছে। এতেও খামারিদের লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই। অন্তত লোকসান থেকে বাঁচা যাবে।

মারমী গ্রামের খামারি মাহাবুল ইসলাম বলেন, প্রতি পিস ডিম ১০ টাকা করে বিক্রি করেও খামারিরা লাভবান হতে পারবেন না। খাদ্যের দাম যেভাবে বেড়েই চলেছে এতে বহু খামারি খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা না হলে বাকি খামারিরাও নিরুপায় হয়ে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন।

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জিয়াউল হক
চেয়ারম্যান: মিসেস নাজমা হক
ঠিকানা: শাঁহ আলী টাওয়ার (৩য় তলা)
৩৩, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ ।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি ।
©২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । আমাদেরকণ্ঠ২৪ ডট কম, জিয়া গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ।
কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন নাম্বার CRW-24516