Amader Kantho- Bangla Online News Portal and Bangladeshi online news source for Game, Binodon, politics, national, international, lifestyle, sports, and many more factors.

ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০, ০৩ অক্টোবর, ২০২৩

Facebook Facebook Facebook Facebook

ফলের বাজারে আগুন, দাম শুনেই ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা

আমাদের কণ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১২:০২
 ক্রেতারা

লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছে দেশি ও বিদেশি ফলের দাম। আগে পরিবারের জন্য যারা নিয়মিত ফল কিনতেন, তারা অনেকেই বাজারের তালিকা থেকে এটি বাদ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের যেন ফল ধরতেই মানা। ডেঙ্গুসহ জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত রোগীর জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাধ্য হয়ে অনেকে বেশি দামে ফল কিনছেন।

ফল কিনতে আসা মুস্তাকিন ও শামীম হোসেন বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত বন্ধুকে হাসপাতালে দেখতে যাবো জন্য ফল কিনতে এসেছি। কিন্তু প্রতিটি ফলের দাম প্রায় দ্বিগুণ। দাম বেশি হওয়ায় সীমিত পরিমাণে কিনতে হচ্ছে। গল্লামারী বাজারে ফল কিনতে আসা তারাপদ নামে এক ক্রেতা বলেন, ফলের সীমাহীন দাম। এ জন্য ফল না কিনেই ফিরে যাচ্ছি। এত দাম দিয়ে ফল কেনা সম্ভব না। তারাপদের মতো দামের আধিক্যতার কারণে অনেক ক্রেতাই বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা দাম শুনেই ফলের দোকানের সামনে থেকে ঘুরে চলে যাচ্ছেন।

ময়লাপোতা মোড়ের মায়ের দোয়া নামে একটি ফলের দোকানের বিক্রেতা টুটুল বলেন, কমলা ৩৮০ টাকা, আপেল ৩২০, মাল্টা ৩৮০, বেদানা ৪০০, সাদা আঙুর ৪০০ ও লাল আঙুর ৪৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাটিমণ ও গৌরমতি আম ৩০০ টাকা কেজি। আর দেশি মাল্টা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই দোকানি নিজেই স্বীকার করে বলেন, অন্য বছর এ সময়ে ফলের যে দাম থাকে এবার তার দ্বিগুণ দাম হয়েছে। গল্লামারী বাজারের ফল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, ফলের দাম শুনেই অধিকাংশ ক্রেতাই চলে যান।

কেন দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমদানি খরচ, সিন্ডিকেটসহ নানা কারণে ফলের দাম বেড়ে গেছে। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের নাগালের বাইরে থেকে যাচ্ছে ফল। এতে ইচ্ছে থাকলেও ফল কিনতে পারছেন না অনেকে।

কাঁচা ও পাকা মাল আড়তদার সমিতি খুলনার প্রচার সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দিন বলেন, ফলের দাম বেড়েছে। যে জিনিস পাওয়া যায় না তার দাম বাড়ে। কিন্তু সব ফল পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও দাম বাড়ছে কেন? ড্রাগন ৩৫০ টাকা কেজি, দেশি অফ সিজনের তরমুজ ৫০ টাকা কেজি, আনারস পিস হিসেবে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য বছরের চেয়ে এবার দ্বিগুণ দামে ফল বিক্রি হচ্ছে। প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে ফল বিক্রেতার কাছে ড্রাগন পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু সেই ফলই সাড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।a

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জিয়াউল হক
চেয়ারম্যান: মিসেস নাজমা হক
ঠিকানা: শাঁহ আলী টাওয়ার (৩য় তলা)
৩৩, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ ।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি ।
©২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । আমাদেরকণ্ঠ২৪ ডট কম, জিয়া গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ।
কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন নাম্বার CRW-24516