ভুয়া রিপোর্ট প্রকাশের অভিযোগে দৈনিক সমকাল সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা

আমাদের কণ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩, ১১:৫৩

গত ২৪ আগস্ট ২০২৩ তারিখে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় “কুতুব অধ্যায়ের পর আলোচনায় পনির” শিরোনামে ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাহিদ হোসেন পনির, বিপিএএ এর ছবি বিকৃত করে ভুয়া প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে প্রতিবেদক হকিকত জাহান হকি এবং পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০০/৫০১/৫০২ ধারায় মানহানির মামলা হওয়ায় মঙ্গলবার সিএমএম কোর্ট নং ২১ থেকে সমন জারি হয়েছে।

একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও দক্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিষয়ক এইরূপ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর দপ্তর এবং সরকারের তথ্য অধিদপ্তর ২৯ আগস্ট ২০২৩ তারিখে “এ প্রতিবেদনটি মিথ্যা, বাস্তবতাবিবর্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” মর্মে উল্লেখ করে উক্ত পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবাদ সম্বলিত প্রেস রিলিজ জারি করে।

ড. জাহিদ হোসেন পনির বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা। বিদেশের তিনটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি বিষয়ে পড়াশুনা করা এবং ডিজিটাল নলেজ ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রীধারী এ মেধাব কর্মকর্তা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৬ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে জনপ্রশাসন পদক গ্রহণ করেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে যোগদানকারী এই কর্মকর্তা স্মার্ট ভূমি বাস্তবায়নের নেপথ্যে মূল কারিগর হিসেবে আত্মনিয়োজিত রয়েছেন। ২০২২ সালে তিনি জাতীয় পর্যায়ে “ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার” অর্জন করেন৷ ক্লীন ইমেজের এই কর্মকর্তার সততা, নৈতিকতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার কারণে তাকে সরকার ২০২২ সালে শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত করে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের নৈতিকতা কমিটির ফোকাল পার্সন হিসেবে মন্ত্রণালয়ের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বরাবরই সোচ্চার থেকেছেন এ কর্মকর্তা যা ভূমি মন্ত্রণালয়ে লুকিয়ে থাকা কুতুব উদ্দিন সিন্ডিকেট চক্রে আঘাত হেনেছ। তাই কুচক্রি মহলের নিকট থেকে কোন সুবিধা নিয়ে এরকম একজন পেশাদার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন ছাপিয়ে হলুদ সাংবাদিকতার আশ্রয় নিয়েছেন হকিকত জাহান হকি। তিনি কোন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দেননি৷ যার বিরুদ্ধে তিনি রিপোর্ট করেছেন তার বক্তব্য নেননি। অফিসে এসে কোন তথ্যই যাচাই করেননি৷ ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কোন সহকর্মীকেও জিজ্ঞেস করা হয়নি৷ বর্ণিত কুতুব এখনও ‘জীবিত” হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাকে ‘মৃত” উল্লেখ করে বানোয়াট প্রতিবেদনের চূড়ান্ত রূপ দিয়েছেন।

এহেন চক্রান্তমূলক, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন সরকারের একটি সফল কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এটি “স্মার্ট ভূমিসেবা” বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্রেরই অংশ।