Amader Kantho- Bangla Online News Portal and Bangladeshi online news source for Game, Binodon, politics, national, international, lifestyle, sports, and many more factors.

ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Facebook Facebook Facebook Facebook

বাবরি মসজিদ ভাঙায় অংশ নেওয়া মুহাম্মদ আমির মারা গেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০২১, ০৩:০১
বাবরি মসজিদ ভাঙা

বাবরি মসজিদ ভাঙায় অংশ নেওয়া নওমুসলিম মুহাম্মদ আমির (বলবির সিং) মারা গিয়েছেন। আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) হায়দারাবাদ প্রদেশের তেলাঙ্গানার ভাড়া বাসায় তাঁর সন্দেহজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য সিয়াসাত ডেইলি থেকে জানা যায়, হাফিজ বাবা নগরে আমিরের ভাড়া বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার পর স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে কাঞ্চনবাগ থেকে পুলিশ এসে মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত শুরু করে।

কাঞ্চনবাগ থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর জে ভেঙ্কট রেড্ডি বলেন, এই সময় মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যায় না। আমরা পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে সন্দেহের কোনও অভিযোগ পেলে পুলিশ পোস্টমর্টেমের জন্য কাজ করবে এবং মামলা করবে।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর সাবেক শিবসেনা বলবীর সিং বাবরি মসজিদ ভাঙায় অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে প্রখ্যাত ভারতীয় আলেম মাওলানা কলিম সিদ্দিকির দাওয়াতে সাড়া দিয়ে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। বাবরি মসজিদ ভাঙায় অংশ নেওয়ার অনুশোচনা থেকে পরিত্রাণ পেতে তিনি ১০০টি মসজিদ নির্মাণ ও সংস্কারের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।

শিবসেনার সদস্য হিসেবে তিনি বাবরি মসজিদ ভাঙায় অংশ নেন। বাড়ি ফেরার পর সাধারণ মানুষের কাছে তাঁকে বীর হিসেবে স্বাগত জানায়। কিন্তু ধর্মীয় সম্প্রতিবোধে বিশ্বাসী তাঁর পরিবার তাঁর এ কাজ মেনে নেয়নি। ফলে তিনি মনে মনে অপরাধ বোধ করেন। পরে মানসিক ও শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি একজন মাওলানার সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা করেন।

বলবীর সিং উত্তর প্রদেশের মুজাফফল নগরে মাওলানা কলিম সিদ্দিকির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। মাওলানাকে তাঁর বাবরি মসজিদ ভাঙায় অংশগ্রহণ সম্পর্কে জানান। এমনকি তাঁর কাছে বলবীর তওবার আকাঙ্ক্ষাও প্রকাশ করেন। এদিকে পবিত্র কোরআনের আলোকে মাওলানা তাঁর কাছে ইসলামী মূল্যবোধের কথা বর্ণনা করেন। বলবীর মাওলানার কথা শুনে উপলব্ধি করেন যে তিনি অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছেন।

১৯৯৩ সালের ১ জুন মাওলানা কলিম সিদ্দিকির কাছে বলবীর শিং ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মুহাম্মদ আমির নাম গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে নওমুসলিম আমির একশ মসজিদ নির্মাণ ও রক্ষায় কাজ করার ইচ্ছা করেন। গত ২৭ বছরে তিনি ৯১টি মসজিদ নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে আরো ৫৯টি মসজিদের নির্মাণ কাজ চলছে। ১৯৯৭ সালে হারিয়ানায় তাঁর প্রকল্পের প্রথম মসজিদ হিসেবে তিনি মসজিদে মদিনা নির্মাণ করেন।

সূত্র : দ্য সিয়াসাত ডেইলি

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জিয়াউল হক
চেয়ারম্যান: মিসেস নাজমা হক
ঠিকানা: শাঁহ আলী টাওয়ার (৩য় তলা)
৩৩, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ ।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি ।
©২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । আমাদেরকণ্ঠ২৪ ডট কম, জিয়া গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ।
কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন নাম্বার CRW-24516