Amader Kantho- Bangla Online News Portal and Bangladeshi online news source for Game, Binodon, politics, national, international, lifestyle, sports, and many more factors.

ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Facebook Facebook Facebook Facebook

রপ্তানির আড়ালে পাচার ৮৩০ কোটি টাকা, জড়িত ৩৩ প্রতিষ্ঠান

আমাদেরকণ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: বুধবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০২:৩৯
ড়িত ৩৩ প্রতি

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব, নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পোশাক। অথচ শত শত কোটি টাকার এসব রপ্তানি আয়ের দেশে আসেনি একটি টাকাও। পাচার করতে অপরাধীরা আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতির। এখন পর্যন্ত চক্রে জড়িত ৩৩টি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের হদিস মিলেছে। এসব প্রতিষ্ঠান ৮৩০ কোটি টাকা পাচার করেছে বলে তথ্য পেয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

মূলত মার্চ, জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে এ অর্থপাচারের কথা জানিয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা অধিদপ্তর। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান ঢাকা, গাজীপুর, সাভার ও চট্টগ্রামে। অপরাধীরা সিঙ্গাপুর, দুবাই, মালয়েশিয়া, কানাডাসহ ২৫টি দেশে অর্থপাচার করতে ভুয়া রপ্তানি নথি ব্যবহার করেছেন। চলতি বছর উদ্ঘাটন হলেও এসব পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত।

সবশেষ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রপ্তানির আড়ালে ঢাকা ও গাজীপুরের ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের তিন কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ মার্কিন ডলার পাচারের কথা জানায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় তিনশ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সাভারের প্রজ্ঞা ফ্যাশন লিমিটেড, গাজীপুরের পিক্সি নিট ওয়্যারস ও হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড, ঢাকার ফ্যাশন ট্রেড, এম ডি এস ফ্যাশন, থ্রি স্ট্রার ট্রেডিং, ফরচুন ফ্যাশন, অনুপম ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড, স্টাইলজ বিডি লিমিটেড ও ইডেন স্টাইল টেক্স।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি পোশাক পণ্যের চালান বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে, এ কারণে পণ্যমূল্য বা বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসিত হচ্ছে না- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কাজ শুরু করে। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিল অব এক্সপোর্ট ঘেঁটে সংস্থাটি জানতে পারে, তারা জালিয়াতি করে অন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ইএক্সপি ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করেছে। বিল অব এক্সপোর্টের ২৪ নম্বর কলামে নমুনার কোড ব্যবহার করেছে ২০। এক্ষেত্রে কোনো অর্থ দেশে প্রত্যাবাসিত না হয়ে পুরো রপ্তানিমূল্য বাবদ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। তদন্তকালে ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময়ে এক হাজার ২৩৪টি পণ্যচালানে এমন জালিয়াতি করেছে। রপ্তানি সম্পন্ন হওয়া এসব চালানের বিপরীতে পণ্যের পরিমাণ ৯ হাজার ১২১ মেট্রিক টন, যার প্রত্যাবাসনযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার সম্ভাব্য পরিমাণ প্রায় তিনশ কোটি টাকা।

কাস্টমস গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে রপ্তানি করা পণ্য হলো টি-শার্ট এবং প্রতি পিসের ওজন দেখানো হয়েছে ৫০০/৮০০/১০০০ গ্রাম বা তারও বেশি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রতি কেজি নিট ফেব্রিক্স দিয়ে কমপক্ষে তিন থেকে ছয়টি লং স্লিভ টি এল সাইজ টি-শার্ট হয়। এমতাবস্থায় প্রতিটি টি-শার্টের গড় ওজন ন্যূনতম ২৫০ গ্রাম ধরে রপ্তানি করা টি-শার্টের সংখ্যা হিসাব করা হয়েছে। কিছু কিছু পণ্যচালানে রপ্তানিপণ্যের মূল্য খুবই কম ঘোষণা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সমসাময়িক রপ্তানি চালানের সমজাতীয় পণ্যের মূল্য বিবেচনায়। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বিল অব এক্সপোর্টে অন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ইএক্সপি ব্যবহার করেছে।

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জিয়াউল হক
চেয়ারম্যান: মিসেস নাজমা হক
ঠিকানা: শাঁহ আলী টাওয়ার (৩য় তলা)
৩৩, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ ।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি ।
©২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । আমাদেরকণ্ঠ২৪ ডট কম, জিয়া গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ।
কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন নাম্বার CRW-24516